সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালীতে দশমিনা উপজেলায় মৌসুমী আক্তার দূলু হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন।
মোঃ নুহু ইসলাম পটুয়াখালী প্রতিনিধি
মোঃ আসাদুজ্জামান সোহাগ চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যা করার অভিযোগের ভিত্তিতে মোল্লার হাঠ বাজারে ১৫/১১/২৩ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন বহরমপুরের ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক নারী ও পুরুষ এ সময় চেয়ারম্যান সোহাগ এর ফাঁসির দাবী জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।
এলাকাবাসী মানববন্ধন শেষে বক্তব্য রাখেন সনিয়া আক্তার, নাফিস ফুয়াদ ছেলে, মেয়ে মেহরিমা, বিপ্লব রাড়ি, সার্জেন্ট আফজাল হোসেন, সার্জেন্ট ওয়াদুদ আহাম্মদ, রিয়াজ রাড়ি বাদশা রাড়ি, আনার কলি বুলবুল, এ সময় বক্তারা বলেন পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আমরা সঠিক তদন্ত করে এই হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
এ সময় মৌসুমি আক্তার দূলুর হত্যাকারী বহরমপুর চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহাগ ও কুখ্যাত খুনি দিপু সহ অন্যাদের বিচার ফাঁসির দাবিতে এলাকাবাসীর ও স্বজনদের কথা ও আহাজারি তে শোকের ছায়া নেমে আসে।
পটুয়াখালী নারী ও শিশু নিযার্তন দমন ট্রাইব্যুনালে মৃত মৌসুমী আক্তার দুলুর ভাই মনিরুজ্জামান বিপ্লব গত ৬ নভেম্বর মামলাটি করেন। আদালত সংশ্লিষ্ট থানাকে মামলাটিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য আদেশ প্রদান করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয় আসামি আসাদুজ্জামান সোহাগ একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি। তার চাচা আব্দুল আজিজ মিয়া দশমিনা উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি,ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তিন সন্তানের জননী মৌসুমী আক্তার দুলুকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ করে। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সে প্রায়ই স্ত্রী মৌসুমীর ওপরে যৌতুকের দাবিতে অমানষিক নির্যাতন করতো।
উল্লেখ্য গত ৫ নভেম্বর দুপুরে দশমিনা উপজেলা সদরের নলখোলায় নিজের ভাড়া বাসা থেকে তার স্ত্রী মৌসুমী আক্তার দুলুর লাশ উদ্ধার করেন চেয়ারম্যান নিজেই। এরপর থেকে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে মৌসুমী আক্তার দুলুকে তার স্বামী আসাদুজ্জামান সোহাগ চেয়ারম্যান নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।